ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চাই এই দাবি নিয়ে কয়রায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ১৭ অক্টোম্বর) উপজেলার সদরের ৩ রাস্তার মোড়ে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করতে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি টেবিল ও কয়েকটা চেয়ারে বসে মাথার উপরে প্যানা নিয়ে বসে আছে কয়েকজন যুবক। সামনে আছে একটি স্বাক্ষরের শীট। সেখানে অতি আগ্রহের সাথে সাধারণ মানুষকে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।
এসময় স্বাক্ষর করতে আসা ১নং কয়রা গ্রামের যুবক মোঃ ইউনুছ আলীর সাথে কথা হলে তিনি অতি আবেগে বলেন, আমাদের উপকূলীয় কয়রায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমাদের একটাই দাবি আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
গণ স্বাক্ষর কর্মসূচী বাস্তবায়নের উদ্যোক্তা নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী দেবব্রত সরকার বলেন, প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গন, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকে কয়রার মানুষ। ষাটের দশকে নির্মিত সেই দুর্বল বেড়িবাঁধ রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন তা সংস্কার না করায় ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটে কয়রাবাসির। তাই অধিক গুরুত্ব দিয়ে কয়রায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
কয়রার কপোতাক্ষ কলেজের সাবেক অধ্যাপক আ ব ম আঃ মালেক বলেন, কয়রা দেশের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানকার সুন্দরবন হতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। এই অঞ্চলের সাদাসোনা বলে খ্যাত বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করে ব্যাপক অর্থনৈতিক অর্জন করে। এত সব সম্ভবনার জায়গায় উন্নয়নে রয়েছে অনেক পিছিয়ে। সেই দিকটা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কয়রার আপামর জনসাধারণের প্রাণের দাবি দীর্ঘমেয়াদী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম