খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রাতে ঈদের শেষ মুহূর্তেই জমে উঠেছে কেনাকাটা। সকাল থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দোকানগুলোতেই বেচাকেনা। শিশু থেকেই বয়স্ক পর্যন্ত মানুষের পদচরনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিপনি বিতান ও মার্কেটগুলো । ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় পড়েছে দোকানগুলোতে দম ফেলার সুযোগ নেই তাদের।
বুধবার (২৬ মার্চ) কয়রা উপজেলা সদর , ঘুগরাকাটী বাজার, আমাদি বাজার, গিলাবাড়ি বাজার, ঘড়িলাল বাজার, ভান্ডারপোল বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সামনে রেখে বিপনি বিতান ও মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বিক্রেতাদের যেন দম ফেলার সময় নেই।
আমাদি বাজারে জায়গীরমহল গ্রাম থেকে মার্কেট করতে আসা লাবনী খাতুন বলেন, এবার ঈদে আমাদের পরিবারের জন্য আমাদি বাজার থেকে মার্কেট করেছি। দোকানে ভিড় ছিল।
দেয়াড়া গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে সাথে নিয়েই আমাদের পরিবারের জন্য এবার ঈদের সকল পোশাক কয়রা বাজার থেকেই কিনেছি। দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় খুব। আমরা সকালবেলায় মার্কেট এসেছিলাম যেন ভিড় কম থাকে তবুও এসে দেখি ভিড় ভালোই আছে।
হোগলা গ্রামের জাকির হোসেন জিকো বলেন, আমাদের পরিবারের জন্য এবার ঈদের সকল পোশাক আমাদের বাজার থেকেই কিনেছি। বাজারে প্রত্যেকটি দোকানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি জানান।
আমাদী গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, পরিবারের জন্য এবার ঈদে কয়রা বাজার থেকে মার্কেট করেছি। সব বাজারে লোকজনের ভিড় অনেক। একই কথা বলেন কুশোডাংগা গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা আসমা খাতুন।
আমাদী বাজারের মায়ের আঁচল বস্ত্রালয়ের মালিক মো. আঃ হামিদ সানা বলেন, আমাদের বাজারে ২০ রমজানের পর থেকেই বেশি বেচা কেনা শুরু হয়েছে। ঈদ যত এগিয়ে আসছে কেনাবেচা ততই বেশি হচ্ছে। একই কথা বলেন বিভিন্ন বাজারের ব্যাবসায়ীরা।
খুলনা গেজেট/এএজে