পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আলহাজ শেখ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আলহাজ শেখ উপজেলার ঘুঘুদহ পূর্বপাড়া গ্রামের মানিক শেখের ছেলে এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শরবেশ শেখের নাতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শরবেশ শেখ ও মোসলেম মাস্টার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার (২৯ মার্চ) ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শরবেশ শেখ সভাপতি নির্বাচিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হন মোসলেম মাস্টার ও তার সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে নবনির্বাচিত সভাপতি শরবেশ শেখ গ্রুপের লোকজন ঘুঘুদহ পূর্বপাড়া মাঠে কাজ করতে গেলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মোসলেম মাস্টার গ্রুপের লোকজনের। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আলহাজ শেখ ফালাবিদ্ধ হন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলহাজ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ফালাবিদ্ধ হয়ে একজন মারা যান। ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মোসলেম মাস্টারসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই