খুলনার গণমানুষের প্রিয় নেতা, খুলনা নাগরিক সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড ফিরোজ আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী (৯ মার্চ) উপলক্ষে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে স্মরণ সভা আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আ ফ ম মহসীনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার কো-অর্ডিনেটর এ্যাড. মোমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি খুলনা মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, সিপিবি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচা’র মহানগর সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক এফ এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, নতুনতারা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কবি সাইফুর মিনা, সিপিবি নেতা এ্যাড. সুব্রত কুন্ডু, এ্যাড. মেহেদী ইনছার, কবি গবেষক সৈয়দ আলী হাকিম, কেএইচ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা খ ম শাহীন হোসেন, এ্যাড. মারুফ আহমেদ, কবি জাহানারা আক্তারী, যুব ইউনিয়নের মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, উন্নয়ন সংগঠক রাকিব ফারাজী, টিইউসি নেতা সাইদুর রহমান বাবু, দেশ বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা দেশ আহমেদ রাজু, নতুনতারা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্থার সরোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর দেওয়ানা, প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশীদ, প্রধান শিক্ষক সাঈদা পারভীন, সিপিবি নেতা ওয়াহিদুর রেজা বিপলু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, কমরেড এ্যাড. ফিরোজ আহমেদ ছাত্র জীবনে মানব মুক্তির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমৃত্যু মানুষের মাঝেই ছিলেন। খুলনা তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন, পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষার আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। কোনো মোহের কাছে পরাস্ত হননি মানবমুক্তির এই অগ্রসৈনিক। দলমত নির্বিশেষে মানুষকে আপন করে নেয়া, মানুষের আপন হওয়ার অভূতপূর্ব গুণের অধিকারী ছিলেন তিনি। সমাজের দুঃস্থ-শ্রমজীবী মানুষের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। প্রকৃতপক্ষে একজন গণমানুষের নেতা হিসেবে গড়ে উঠেছিলেন। বিদ্যমান বাস্তবতায় তাঁর মত রাজনীতিবিদ ও নাগরিক নেতা বড় বেশি প্রয়োজন। বক্তারা তাঁর কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় বক্তারা কমরেড এ্যাড. ফিরোজ আহমেদের স্মৃতি রক্ষার্থে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলের নাম, কোনো অডিটরিয়াম, সড়ক বা স্থায়ী কোনো স্মারক চিহ্ন স্থাপনের আহ্বান জানান। এছাড়া এক প্রস্তাবে খুলনার জাতিসংঘের শিশু পার্কের নাম এ্যাড. ফিরোজ আহমেদ শিশু পার্ক নামকরণের আহ্বান জানান।
খুলনা গেজেট/ টি আই।