‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র আজ (২১ জুন) ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের কবিতায় অবিস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি।
১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
দিনটির স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, আজ কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠেখালিতে সকালে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল এবং দোয়ার আয়োজন করেছে। করোনাকালীন দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে সংসদ এ আয়োজন করবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা এবং লন্ডন ভিত্তিক ইউটিউব টিভি চ্যানেল ‘‘প্রবাস দর্পন” যৌথ আয়োজনে কবির স্মরণে সন্ধ্যায় অনলাইনে রুদ্র স্মরনানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া আমেরিকা থেকে মিত্রাঙ্গন নামে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানও রাত ৯টায় রুদ্রের স্মরণে আলোচনা ও রুদ্রের গানের আয়োজন করেছে।
অকাল প্রয়াত এই কবি যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। একই সঙ্গে তঁার কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের দীপ্ত হাতিয়ার।
মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি