কোথায় সেই মেঘ যে আমার প্রিয়তমার
অশ্রুর মতো ঝরিয়ে দেয় বারি
আমার মানসের পিঙ্গলাভ ভূমিতে
হঠাৎ;– যে বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে উর্বর ভূমি হতে
উদ্ভিন্ন হয় ক্যাকটাসের অরণ্যানী!
কিন্তু না মেঘ, না প্রিয়তমার–
কারোরই আমি পাই না হদিস!
ফলে নৈঃসঙ্গ্যের তানে ভরে ওঠে সিম্ফোনি কালের
আর নৃত্যরতা ভৈরবের স্তনে ঘোলা জলের
ঘূর্ণাবর্তে লীন হয় উচ্চাকাঙ্ক্ষামাখা মায়ের আশিস!
তবু আমি কিছু কিছু স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস
চাষ করি আমার অলিন্দের গভীরে।
চেষ্টা করি নিয়মিত জল দিতে আর
সাফ করে দিতে আগাছা বারবার
যেন কারো উদ্যত পাশব আঙুল না ছোঁয় তার সম্ভাবনার নাভিকে!
মহাযুগের মহাগুজব তবু রটে যায়;–
রটতে থাকে আমার নামেই
যেন কবি হয়েই আমি করেছি মস্ত বড় ভুল!
আমার কবিতার দিকেই তাই সকলের উদিত হয় আঙুল–
“যাও, ছিঁড়ে ফেলো সব… অথবা দাও ভাসিয়ে নর্দমার জলে– পুরে সব পাণ্ডুলিপি প্রোজ্জ্বল খামেই!”
এসব কীভাবে বলো তোমরা; যখন
আবেগের আগলে শোনা যায় বিবেকের টঙ্কার?
“কবিরাও তো মানুষ হয়”– একথা বুঝবে কবে আর বলো;
যখন তোমাদেরই নারীদের নীলাম্বর হয়ে ওঠে কালো
আর টুংটাং করে বেলোয়ার করে চিৎকার?
খুলনা গেজেট/ এএজে