কবিতার মাঠে হাঁটছি তো হাঁটছিই,
বিস্তৃত এই পথ, আকাশের মতো বিশাল।
সহজে দেয়া যাবে না কবিতার মাঠ পাড়ি।
পথ চলতে শত শত অভিবাদন পাচ্ছি,
খুশীতে গদগদ হচ্ছি,
ব্যক্তি ও সমষ্টিগত বাদ প্রতিবাদ হারা।
কবিতার মাঝে খুঁজে ফিরি আত্মতৃপ্তি।
সমাজ রাষ্টের কী লাভ হয় জানি না।
তবুও কবিতার মাঠে হাঁটছি তো হাঁটছিই।
কবিতা আমার হাতিয়ার কিন্তু নেই ব্যবহার।
মনপ্রাণ দিয়ে কলম খুলে আমরা কী লিখি?
অনিশ্চিত মূহূর্তের হাতছানি।
তবুও কবিতা লিখে চলেছি।
মস্তিস্কপ্রসূত তথ্যের সমাহার ঘটিয়ে লিখছি কবিতা।
আবেগের স্রোতে অবগাহন হিমালয় পর্বত আকাশ।
এটি তো নয় কবিতা।
কবিতা হবে অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে চাবুক।
প্রেম ভালোবাসাও থাকবে কিংবা ফুল পাখির গল্প।
মূলত কবিদের কাজ কবিতা লেখা সমাজ বিনির্মাণে।
কবিতা লিখি মনের ক্ষুধা মিটাতে।
এতে কারো হৃদয় স্পর্শ করে না।
বিপ্লব হয় না, পানসে সব কবিতা।
নাড়া দেওয়ার মতো কবিতা নেই।
যে যার মতো আমরা পাতা পাতা লিখে চলেছি।
কবিতার মাঠে উদাস মনে হাঁটছি, ঘুরছি, ফিরছি।
আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছি।
তাতে কী সমাজ রাষ্ট্রের কোন উপকারে আসছে?
যতসব অন্ধ উম্মাদনা।
রহস্য উম্মোচনের দরজা বন্ধ করে লিখছি কবিতা।
জীবন ও জীবিকা সুরক্ষার তত্ত্ব হয় কী উপস্থাপিত?
কৃষক, শ্রমজীবিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ কখনো হয়?
কবিতার বিশাল মাঠে কবিদের দৌড়াদৌড়ি।
দেশ জাতির দিক নির্দেশনায় বের হয় কী মহাকাব্য?
ক্ষুরধার লেখনিতে দুর্নীতি অন্যায় ভেসে যাবে।
মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াবে, প্রতিবাদী হবে।
তাহলেই হবে কবিতার মাঠে পথচলার সার্থকতা।
কবিতা হোক জীবনসত্ত্বার ক্যানভাস।
প্রস্ফুট হোক গতিময় বৈচিত্রপূর্ণ।
সমাজের ঘুণপোকা অপসারণে হিরন্ময় হাতিয়ার।
খুলনা গেজেট/এনএম