আজ (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্ম নেন তিনি।
বেঁচে থাকতে জন্মদিনটি ঘিরে পুরো দেশে হুমায়ূনভক্তদের মধ্যে সৃষ্টি হতো বিপুল উন্মাদনা। নানা আয়োজনে দিনভর মুখরিত থাকতো দখিনা হাওয়া, নুহাশপল্লী। জনপ্রিয় এই লেখক ২০১২ সালের ১৯ জুলাই চলে যান না ফেরার দেশে।
উপন্যাসে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেলেও, তার শুরুটা ছিল কবিতায়। এরপর নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন পদচিহ্ন। যার প্রতিটিতেই পেয়েছেন সফলতা।
১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে যায় চারদিকে। তার সৃষ্ট ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ চরিত্র তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সববয়সী পাঠকের কাছে হয়ে উঠে অনুকরণীয়। এছাড়া দেশে এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা, যারা তার নাটক দেখেননি।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাসের সংখ্যা দুই শতাধিক। উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, লীলাবতী, কবি, সৌরভ, নী, ফেরা, কৃষ্ণপক্ষ, গৌরিপুর জংশন, নৃপতি, অমানুষ, সাজঘর, বাসর, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমনি, দারুচীনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প, মধ্যাহ্ন প্রভৃতি।
তার সর্বশেষ উপন্যাস ‘দেয়াল’ও পায় আকাশচুম্বী পাঠকপ্রিয়তা। একইসঙ্গে রচনা ও পরিচালনা করেছেন বহু একক ও ধারাবাহিক নাটক। পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্রও। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’র জন্য তিনি লাভ করেন মরণোত্তর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
হুমায়ূন আহমেদ তার দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্যজীবনে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, লেখকশিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অন্যতম।
খুলনা গেজেট/কেএম