খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

কচুয়ায় প্রতিবেশীর ইটের আঘাতে নারী প্রভাষক আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটের কচুয়ায় খালিদ হোসেন নামের এক যুবকের ইটের আঘাতে গোয়ালমাঠ মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাহিদা আক্তার গুরুত্বর আহত হয়েছেন। শনিবার (০৪ জুন) বিকেলে সাইনবোর্ডবাজার সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন লেক থেকে বোমা মেশিন (স্থানীয়ভাবে তৈরি অবৈধ ড্রেজার মেশিন) দিয়ে বালু তুলতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে খালিদ ও তার বাবা শাহিদার উপর হামলা করেন। এতে শাহিদা আক্তারের কপালসহ বিভিন্ন স্থান জখম হয়। এবিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাহিদা আক্তার।

আহত শাহিদা আক্তার কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড বাজার সংলগ্ন খলিশাখালী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য একরাম হোসেনের স্ত্রী। সে গোয়ালমাঠ মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

হামলাকারী খালিদ একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোতালেব শেখের ছেলে। সে গোপালপুর শহীদ আসাদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কর্মরত আছেন।

শাহিদা আক্তার বলেন, প্রতিবেশী মাস্টার মোতালেব শেখ ও তার ছেলে খালিদ হোসেন তাদের জমি ভরাটের জন্য মিস্ত্রি ও লেবার দিয়ে শনিবার সারাদিন আমার বাড়ির পাশে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন লেক থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু তুলছিলেন। বিকেল পাচটার দিকে তাদের তোলা বালু ও পানি জমি উপচে বাইরে যাচ্ছিল। সেই বালু ও পানি আমার বাড়ি ও রাইস মিলের মধ্যে প্রবেশ করে। বালু কাটা মিস্ত্রিদের বিষয়টি জানালে তারা মেশিন বন্ধ করে দেয়। তখন মোতালেব মাস্টার ও তার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে খালিদ হোসেন আমাকে ইট মারতে থাকে। খালিদের ছোড়া ইট আমার কপালে ও মাথায় লেগে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এক পর্যায়ে স্থানীয় ভ্যান চালক ও যাত্রীরা এগিয়ে আসলে মোতালেব মাস্টার ও খালিদ ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কচুয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও খালিদ ও তার বাবার লোকদের জন্য সঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারি নাই। উপরন্তু এখন আমাকে এবং আমার স্বামীকে মেরে ফেলা ও মিথ্যা মামলায় ফাসানোর হুমকী দিচ্ছে। আমরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি ন্যায় বিচার চাই। এর আগে খালিদ ও তার বাবা আমাকে একাধিকবার গালিগালাজ করেছে।

খালিদ হোসেন বলেন, বাড়িতে পানি উঠে বাড়ির গাছপালা নষ্ট হবে এই শঙ্কায় শাহিদা ও তার লোকজনরা আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা করে। আমরা শুধু প্রতিরক্ষার চেষ্টা করেছি। আমরাও তিনজন আহত হয়েছি।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর শাহিদা আক্তার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। তিনি এখনও কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!