খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন অফিসের কনফারেন্স রুমে সহজলভ্য জলজ আগাছা কচুরিপানা হতে কারুশিল্পের কাগজ প্রস্তুত প্রকল্পের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ সভা আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি বলেন কচুরিপানা বাংলাদেশের নদী-নালা,খাল-বিলে সহজলভ্য। এটা সাধারণত আগাছা হিসেবে পরিচিত। এটি জন্মালে সে পুকুরে মাছ বা অন্য কিছুর চাষ বিঘি্নত হয়। তাই এটা একটা ফেলনা বিষয় বা কৃষকের জন্য বোঝা। অথচ এই কচুরিপানা থেকে খুব সুন্দর ক্রাফট পেপার তৈরি করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এ বিষয়ে যে প্রকল্প ছিলো তা সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হয়েছে এবং সেখান থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি কচুরিপানা থেকে তৈরিকৃত কাগজের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ কুটির শিল্পের জন্য কচুরিপানা থেকে তৈরি ক্রাফট পেপার একটি বহুমাত্রিক ব্যবহারের জন্য ভালো উপকরণ। তিনি এটাকে কুটির শিল্প পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং তৈরিকৃত বিভিন্ন উপকরণ দেশে ছাড়াও বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা নিয়ে ভাবতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান এবং সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের প্রিন্সিপাল কো-ইনভেস্টিগেটর ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটিতে ওয়েবিনারে যোগ দেন ব্লু গোল্ড প্রজেক্টের টিম লিডার গাই জোনস এবং নেদারল্যান্ডের ওয়াগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডলফি ডেবরট। এসময় একটি ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে কচুরিপানা থেকে কারুশিল্পের কাগজ প্রস্তুত প্রণালী প্রদর্শন করা হয় এবং প্রস্তুতকৃত কাগজে “কালারস অফ নেচার” শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল আর্ট কম্পিটিশনের বিজয়ী ৫জন শিক্ষার্থীর চিত্রকর্ম প্রদর্শন ও তাদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। বিজয়ী ৫জন শিক্ষার্থীর নাম ক্রমানুসারে শেখ মোহাম্মদ সুমন, তুলি সাধু, আফরোজা আক্তার মুন্নি, জয় কুমার ভৌমিক ও আয়েশা সিদ্দিকা। আঠারো মাস মেয়াদী এই প্রকল্পটি আজ শেষ হয়। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম