কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ইকবালকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
কুমিল্লার ঘটনায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কবে জনসম্মুখে আনা হবে বা এ ঘটনার সর্বশেষ আপডেট কী- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ী ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। কুমিল্লা মাজারের সঙ্গে যে মসজিদ, সেটা প্রসিদ্ধ মসজিদ। লোকটি (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে) রাত ৩টার দিকে কয়েকবার (সেখানে) গিয়েছেন। সেখানে তিনি মসজিদের খাদেমের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা এ কাজে অভিজ্ঞ তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ব্যক্তিটি মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ এনে রেখেছেন, এটা তারই কর্ম। আমরা যতটুকু দেখেছি, লোকটি কোরআন এনে মূর্তির কোলে রেখে মূর্তির গদাটি কাঁধে করে নিয়ে আসছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই