পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসারপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পরা বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী কক্সবাজার জেলার সব থানার প্রায় ১,৪০০ পুলিশ সদস্যকে বদলী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পুলিশের সম্পূর্ণ নতুন সেট কক্সবাজারে আসবে, আর এখানে যারা এতদিন কর্মরত ছিলেন তারা অন্যত্র যাবেন।
মিস্টার হাসানুজ্জামান নিজেও মাত্র একদিন আগে বৃহস্পতিবারই ওই জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহার মৃত্যুর পর জেলায় অপরাধ দমনে পুলিশের কৌশল নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।
পরবর্তীতে ওই ঘটনায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ বিভিন্ন পদবীর বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে এখন বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
এরপর জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ আটজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে সরিয়ে নতুন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ এরপর বদলী করে জেলায় কর্মরত ৩৪জন পুলিশ পরিদর্শককে এবং তাদের বদলীর প্রজ্ঞাপন জারী করে ৩০শে সেপ্টেম্বর সদর দপ্তরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, সব র্যাংক মিলিয়ে ১,৪০০ মতো কর্মকর্তা, যেখানে কনস্টেবল থেকে শুরু করে সব পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন, তাদের সবাইকে অন্যত্র বদলী করা হচ্ছে।
“সব র্যাংক মিলিয়ে ১৪’শ বদলী হচ্ছেন। সব পর্যায়েই এ বদলী হচ্ছে। আমি পুলিশ সুপার নতুন এসেছি। বদলীর অর্ডার হয়েছে ধাপে ধাপে, তবে তা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে,” বলছিলেন তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, জেলার আটটি থানার পুরো সেটই বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
তিনি অবশ্য মনে করেন যে এসব বদলী পুলিশ প্রশাসনের রুটিন কাজের একটি অংশ।
“বদলী স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। বেশ কিছু বদলী হয়ে এসেছেন। আবার বিভিন্ন পদবীর অনেকে যাচ্ছেন। এটা সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হচ্ছে”। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
খুলনা গেজেট / এমএম