কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড় এলাকায় একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের চাপায় আইনজীবী, পর্যটকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের মেধাবী ছাত্র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান, কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৬০) ও কক্সবাজারে বেড়াতে আসা রাজধানীর উত্তরা এলাকার শাহাদাত হোসেন (৪৫)।
এর মধ্যে অ্যাডভোকেট ওসমান চট্টগ্রাম থেকে তাঁর কর্মস্থল কক্সবাজার শহরে এসে গাড়ি থেকে নেমে স্ত্রী ও ছেলেসহ বাসায় যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠছিলেন। অপরদিকে, কক্সবাজারে বেড়ানো শেষে ঢাকায় ফেরার জন্য বাস কাউন্টারে যাচ্ছিলেন শাহাদাত হোসেন।
এ ঘটনায় আহত ১২ জনের সবাই অটোরিকশা, ইজিবাইকের যাত্রী ও পথচারী ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন উখিয়ার কোটবাজার এলাকার আবদুল আমিনের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৫), বশরত আলীর ছেলে মুজিব (৪৫), শফিউল্লাহর ছেলে জিকু (৩০), মহেশখালী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জয়নাল (৩৫), বড় ভাই আবুল হোসেন (৪৫) ও ছেলে রাশেদুল হক (১৭)। আহত অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাক শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি ইজিবাইক ও পথচারীদের চাপা দেয়। এ সময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পথচারী মোমেনা বেগম। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয় শাহাদাতের। এ ছাড়া গুরুতর আহত অ্যাডভোকেট ওসমানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে আজ রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান তিনি।
এর আগে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, ঘটনাস্থলে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই