ময়মনসিংহের ভালুকায় ককটেল ফাটিয়ে জুয়েলারি দোকানের লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদলের হামলায় দোকান মালিক অধীর কর্মকার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
বুধবার রাত ৯টায় ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রদীপ জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ও পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ৪-৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল একটি প্রাইভেটকারে এসে প্রদীপ জুয়েলার্সে ডুকে দোকান মালিক অধীর কর্মকার ও তার ভাই সুধীর কর্মকারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। দোকানের কাউন্টারের শোকেসে থাকা সব স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় দোকান মালিক অধীর কর্মকারের পায়ে একটি গুলি ও মাথায় আঘাত করে বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে গফরগাঁওয়ের দিকে চলে যায় ডাকাত দল।
এ সময় ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে কয়েকজন পথচারী আহত হন। খোঁজ পেয়ে স্থানীয় লোকজন আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের হার্ডওয়ার দোকান মালিক শাহিন জানান, পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের কারণে বিকট শব্দে আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে ৪-৫ জন লোক জুলেয়ারি দোকানে ডুকে ডাকাতি করে। পরে আমরা গিয়ে দেখি দোকান মালিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং দোকানের স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে।
আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকার দাবি করেন, আমার ভাই ও আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় হাতাহাতির এক পর্যায়ে আমার পায়ে গুলি ও মাথায় আঘাত করে ডাকাতদল।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।