তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১২০ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাবর আজমের দল।
শুক্রবার মুলতান স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় পাকিস্তান। ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ২৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছোড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নওয়াজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দেন শাই হোপ। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাকিয়ে এই ম্যাচে ৬ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি।
কাইল মায়ার্স ও শামার ব্রুকস দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চাপ কিছুটা সামাল দেন। তাদের ৫৪ বলে ৬৭ রানের জুটি ভাঙলে ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মায়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৩ রান, আর ব্রুকস তুলেন ৫৬ বলে ৪২ রান।
তারপর এই জুটি ভাঙতেই নওয়াজের ঘুর্ণিতে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। দলের পক্ষে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ৩৬ বলে ২৫ রান, রোভম্যান পাওয়েল ১০ বলে ১০ রান, আকিল হোসেন অপরাজিত ২১ বলে ১৪ করেন।
এ ছাড়া ব্যাট করতে নেমে আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর পার করতে পারেননি।
পাকিস্তানের বোলার মোহাম্মদ নওয়াজ তুলে নেন ৪ উইকেট। ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ওয়াসিম তিন, শাদাব খান দুটি ও শাহিন আফ্রিদি একটি উইকেট নেন।
পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট করতে ১৭ রানে ফিরেন ফাখর জামান; তারপর ইমাম-বাবর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২৮ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন স্বাগতিকরা।
এই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলে লঙ্কান ক্রিকেটার সাঙ্গাকারার পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে টানা চার সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়তেন বাবর। কিন্তু ২৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সাঙ্গাকারা ২০১৫ বিশ্বকাপে টানা চার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
চার সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও টানা ছয় ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেলেন বাবর। দশম ক্রিকেটকার হিসেবে এই রেকর্ডের মালিক তিনি। সর্বশেষ ছয় ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি ও দুটি অর্ধশতক পেলেন বাবর।
ইমাম রানআউট হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৭২ রান। পাকিস্তান ধাক্কা খায় বাবর আজম আউট হয়ে ফিরলে। ৯৩ বলে ৭৭ রান করে আইউট হন তিনি; খেলেন ৫টি চার আর ১ ছক্কার মার।
এর পরের ২০ রানে হারাতে হয়েছে ৪টি উইকেট। ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানে থাকা স্বাগতিকদের স্কোর বোর্ড পরিণত হয় ৬ উইকেটে ২০৭ রান।
শাদাব খান ২৩ বলে ২২ রান, খুশদিল শাহ ৩১ বলে ২২ রান, মোহাম্মদ ওয়াসিম ১৩ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন। আর শাহিন শাহ আফ্রিদির ব্যাট থেকে ৬ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে দলকে ২৭৫ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন তিনটি, আলজেরি জোসেফ ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
১২ জুন সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।