সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনটি ১৪ দলীয় জোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে ছাড় দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এলাকায় তেমন কোন উন্নয়ন না হওয়া ও তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্ত করার অভিযোগ তোলেন তারা। অধিকাংশ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনটি তালা ও কলারোয়া উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মুজিবকে পরাজিত করেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডঃ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। দ্বিতীয়বারের মত ২০১৮ সালেও তিনি নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন।
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন বলে আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেঅনুযায়ি দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। তবে ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা-১ আসনটিতে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে ছাড় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের কর্মী মোঃ নুরুল ইসলাম।
এবিষয়ে পাটকেলঘাটা থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলুর রহমান জানান, আমরা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে বেছে নেব এবং তাকে জয়যুক্ত করার চেষ্টা করব।
এলাকায় তেমন উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ করে তালা উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাবাজ আলী বলেন, মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে আগে দুবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এলাকার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। এবারও তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এবার আওয়ামী লীগের নেতারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগের কান্ডারি,যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাদের পক্ষেই আমরা কাজ করব।
ওয়ার্কার্স পার্টিও নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করার অভিযোগ তুলে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (মুস্তফা লুৎফুল্লাহ) এলাকাটিকে উন্নয়ন বঞ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভক্ত করেছেন। তার অযোগ্যতা ও অদক্ষতায় এ আসনের বেহাল দশা। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ছাড় পাবেননা।
খুলনা গেজেট/ টিএ