বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের অনির্বাচিত সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছিল দেশের নেতৃত্ব ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। সেই ভয়াবহ অপশাসন-দুঃশাসনের মধ্যেও জনগণ প্রিয় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে রাজপথে অবিচল ছিল। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ফখরুদ্দিন, মঈন উদ্দিনরা সেদিন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।’
শুক্রবার যশোরে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৩তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। সেই পথ অনুসরণ করে বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করে নিয়েছে। আর একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। সেই মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ থাকার পরও ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়নি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ, সদর উপজেলা সভাপতি নূর-উন-নবী, নগর সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, অ্যাডভোকেট হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এসএম মিজানুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন টেনিয়া, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
সভা শেষে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম