টানা তিন হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল, ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। কিন্তু ফেরার জন্য প্রতিপক্ষের উপর এতটাই নির্দয় হবে চেন্নাই সুপার কিংস!
দুবাইয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে রীতিমত লজ্জায় ডুবিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ১৭৯ রান তাড়া করে ১০ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখে জিতেছে তারা।
চেন্নাইয়ের এমন জয়ের রূপকার দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন আর ফাফ ডু প্লেসিস। তারা এমনই ব্যাটিং করেছেন বাকিদের আর নামারই প্রয়োজন পড়েনি। বরং বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ার সময় একটা আফসোস তারা করতে পারেন, আর একটু সুযোগ পেলেই তো সেঞ্চুরিও হয়ে যেতো।
কাকতালীয় ব্যাপার হলো, দুই ব্যাটসম্যানই খেলেছেন সমান ৫৩ বল। ডু প্লেসিস ১১ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেনন ৮৭ রানে। ওয়াটসন ৮৩ রান নিয়ে ছিলেন, যে ইনিংসে তারও বাউন্ডারি ১১টি, ছক্কা ৩টি। ডু প্লেসিস ম্যাচের শেষ বলে চার হাঁকানোয় দুজনের জুটিতে আসে ১৮১ রান।
এর আগে লোকেশ রাহুলের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর নিকোলাস পুরানের মারকুটে ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই গড়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তারপরও লড়াই করতে পারল না।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করে পাঞ্জাব। লোকেশ রাহুল আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৪৮ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৬১ রান।
নবম ওভারে পিযুষ চাওলাকে আক্রমণে আনেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম বলেই সাফল্য। চাওলাকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন আগারওয়াল (১৯ বলে ২৬)। ছোটখাটো এক ঝড় তুলেছিলেন মানদ্বীপ সিং। ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২৭ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে এক্সট্রা কভারে ফাঁদ পেতে রাইডুর ক্যাচ বানিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
৪৬ বলে ফিফটি পাওয়ার পর রাহুল হাত খুলেছেন। ১৫তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে ছক্কা মেরে পঞ্চাশ করে টানা আরও দুটি চার হাঁকান পাঞ্জাব অধিনায়ক। অন্যপ্রান্তে নিকোলাস পুরানও চালিয়েছেন। ৩২ বলে তারা যোগ করেন ৫৮ রান।
১৮তম ওভারে এসে টানা দুই বলে দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর। বল আকাশ সমান উঁচুতে তুলে আউট হন পুরান, ১৭ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৩৩। পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন রাহুল। ৫২ বলে গড়া তার ৬৩ রানের ইনিংসটি ছিল ৭ চার আর ১ ছক্কায় সাজানো।
এই জোড়া ধাক্কায় সেট দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে রানের গতি অনেকটাই কমে যায় পাঞ্জাবের। শেষ ১৮ বলে তারা তুলতে পারে মাত্র ২৬ রান।
খুলনা গেজেট/এএমআর