সিটি করপোরেশন এলাকায় মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদ নিতে লাগবে অনলাইন মৃত্যু নিবন্ধন। এটি বাধ্যতামূলক করে গত ৯ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
মৃত্যু নিবন্ধন বলতে মৃত ব্যক্তির নাম, মৃত্যুর তারিখ, মৃত্যুর স্থান, লিঙ্গ, বাবা অথবা মা অথবা স্বামী বা স্ত্রীর নাম নির্ধারিত নিবন্ধকের রেজিস্টারে উল্লেখ করে সনদ গ্রহণ করা বোঝায়।
পরিপত্রে বলা হয়, ‘সিটি করপোরেশনের অধিক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণের ওয়ারিশ সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর আবেদনের সঙ্গে অনলাইন মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো। সিটি করপোরেশনগুলো অনলাইন মৃত্যু নিবন্ধন সনদ যাচাই করে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করবে।’
কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি উত্তরাধিকারদের মধ্যে তার ব্যক্তিগত আইন অনুসারে এবং দেশীয় আইনে বণ্টন করা হয়। দেখা যায়, স্থানীয়ভাবে একজন ব্যক্তির উত্তরাধিকার ও ওয়ারিশ কে কে তা সবাই জানেন, কিন্তু অফিস আদালত বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তা জানা সম্ভব হয় না।
আবার দেখা যায়, এক ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী ও সন্তান থাকলে, মৌখিকভাবে কাউকে ত্যাজ্য করলে বা পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকলে তার প্রকৃত উত্তরাধিকার কারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের সমস্যা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন অথবা আদালত থেকে কে কে ওই মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ, সে সম্পর্কে একটি সনদ প্রদান করা হয়, এটিকে ওয়ারিশ সনদ বলা হয়।
জমি-জমা বা সম্পত্তি বাটোয়ারা, জমি খারিজ বা নামজারি করা, আইনগত অধিকার আদায়, ঘোষণামূলক মোকদ্দমা, ব্যাংক-বিমায় মৃত ব্যক্তির অর্থ থাকলে এবং পেনশন তুলতে এ সনদ প্রয়োজন হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই