৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাত এবং বিদেশে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে ওয়েস্টেজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক উদ্দিন, কোম্পানি সচিব আবদুল মোতালেবসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় চীনের প্রতিষ্ঠান হেক্সিংয়ের কর্মকর্তা ইয়ে ওয়ন জুনকে তৃতীয় আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ওজোপাডিকো ও চীনের প্রতিষ্ঠান হেক্সিং ইলেট্রিক্যাল লিমিটেড ২০১৯ বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি (বেসকো) নামে প্রিপেইড মিটার তৈরীর কারখানা চালু করে। ওই কোম্পনিতে পদাধিকারবলে শফিক উদ্দিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), আবদুল মোতালেব পরিচালক -অর্থ (ডিএমডি) ও চীনা নাগরিক ইয়ে ওয়েনজুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, মামলার আসামীরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান না করে হেক্সিং ইলেট্রিক্যাল কোম্পানির নামে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৭ টাকা, রিপেয়ার ট্রেনিং বাবদ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭০, মিটার ওয়ারেন্ট্রি বাবদ ৭ কোটি ২১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৪ টাকা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্টের নামে ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকা, প্রশিক্ষণের ভিন্ন এলসি বাবদ ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫’শ টাকাসহ বিভিন্ন খরচের মাধ্যমে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৯টাকা আত্মসাত করেছেন।
সবমিলিয়ে বেসকো পরিচালনায় থাকা এই তিন ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজশে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আ´সাত ও প্রায় ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছেন।
দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ জানান, আসামীরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসভঙ্গ করে সরকারি প্রায় তিন কোটি টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দÐবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচএইচ/কেডি/এমএম