খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬
# ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানে টোকেন সংগ্রহ করা যাচ্ছে না # তীব্র তাপদাহে ৩/৪ ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের

ওজোপাডিকোর প্রিপেইড মিটারের বিদ্যুৎ কিনতে সীমাহীন ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ কিনতে গ্রাহকদের ভোগান্তির যেন শেষই হচ্ছে না। এপ্রিল মাসের শুরু থেকে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও নগদ থেকে বিদ্যুৎ কেনার টোকেন সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধছে। গ্রাহকদের টাকা কেটে নিলেও টোকেন পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ সময় সার্ভার বন্ধ থাকছে।

সংকটের এই সময়ে ওজোপাডিকোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংকগুলো বিদ্যুতের টোকেন বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছে। উপায় না পেয়ে অগ্রিম বিদ্যুৎ কেনার টোকেন সংগ্রহের জন্য ওজোপাডিকোর সেবা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তীব্র গরমের মধ্যে সেখানে লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

২০১৫ সাল থেকে খুলনায় প্রি-পেইড মিটার চালু করে ওজোপাডিকো। অগ্রিম বিদ্যুৎ কিনতে নির্ধারিত ভেন্ডিং স্টেশন বা বিক্রি কেন্দ্রে গিয়ে টাকা দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। ওই টোকেন নম্বর মিটারে ইনপুট দিলে বিদ্যুতের টাকা যুক্ত হয়। শুরুতে ভেন্ডিং স্টেশন কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। এ নিয়ে আন্দোলন হলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও নগদ, বেশ কিছু ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ওজোপাডিকো। এরপর এসব মাধ্যমেই বেশিরভাগ গ্রাহক অগ্রিম বিদ্যুত কিনে থাকেন।

ওজোপাডিকোর গ্রাহকরা জানান, বেশিরভাগ সময় বিকাশ ও নগদ থেকেই প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ কেনেন তারা। এপ্রিল মাসের শুরু থেকে তাদের ভোগান্তি শুরু হয়। বিকাশ থেকে টাকা কেটে নিলেও টোকেন পাওয়া যায় না। এ নিয়ে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে তারা ওজোপাডিকোর সার্ভারে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সার্ভারে ত্রুটির কথা বলে বিদ্যুৎ বিক্রি বন্ধ রেখেছে ব্যাংকগুলো।

শেখপাড়া এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ জানান, সকাল ১০টায় বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দেখা যায় মিটারে টাকা শেষ। দ্রুত সড়কের পাশে বিকাশ এজেন্টের দোকানে গেলে তারা জানায়, সার্ভারে ত্রুটির কারণে প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ। বেশ কিছু বিকাশ ও নগদ এজেন্টের দোকান ঘুরে কোথাও টোকেন পাওয়া যায়নি। পরে ওজোপাডিকোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকে গেলে তারা জানায় আপাতত বিদ্যুৎ বিক্রি বন্ধ রয়েছে। উপায় না পেয়ে ওজোপাডিকোর শেখপাড়া সেবা কেন্দ্রে গিয়ে দেখি প্রায় দুই শতাধিক মানুষ লাইনে দাড়িয়ে রয়েছে। প্রায় ৩ ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে এরপর টোকেন সংগ্রহ করেছি।

ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রিপেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিক্রি বন্ধ।

দুুপুরে শেখপাড়া সেবা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাহকদের লম্বা লাইন। ব্যাংক ও মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ কিনতে না পেরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রাহকরা আসছেন। তীব্র গরমে ঘেমে একাকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। প্রত্যেকেই ২/৩ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাড়ানো।

গোবরচাকা এলাকার বাসিন্দা ইউসুুফ আলী বলেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে এই সমস্যা। মাসের শুরুতে একদিন এসে ৩ ঘণ্টা দাড়িয়ে ছিলাম। আজ আড়াই ঘণ্টা হয়েছে, আরও কত সময় লাগবে জানি না।

এ ব্যাপারে ওজোপাডিকোর নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন) প্রকৌশলী মো. শামছুল আলম বলেন, সার্ভারের ত্রুটি মেরামতের জন্য আমরা কাজ করছি। খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।

 

খুলনা গেজেট/হিমালয়




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!