বর্তমান সরকারের বড় যে অর্জনগুলো আছে তার মধ্যে অন্যতম পদ্মা সেতু। এটা শুধু দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নয়। পদ্মা সেতু ঘিরে গোটা বাংলাদেশের জিডিপি বাড়বে দেড় থেকে দু’শতাংশ। দারিদ্র বিমোচন হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নসহ বদলে যাবে দৃশ্যপট। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যে সমৃদ্ধিশালী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় অর্জন হলো পদ্মা সেতু।
খুলনা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ মালিক গ্রুপের সাবেক মহাসচিব এড. সাইফুল ইসলাম পদ্মা সেতু নিয়ে খুলনা গেজেটকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এ কথাগুলো বলেন।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, পদ্মা সেতুতে গাড়ির চাকা ঘুরবে ২৫ জুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়টা নির্ধারণ করেছেন। এটা উদ্বোধনের সাথে সাথে এ অঞ্চলের দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করবে। আমাদের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটবে। বিশেষ করে মোংলা বন্দর যে অবস্থানে আছে সেটি আরও গতিশীল হবে। বিদেশী বিনিযোগকারীরা আসতে শুরু করবে। তাদের বিনিয়োগের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাড়াবে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে, দারিদ্র বিমোচন হবে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেক মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। নতুন নতুন মিল কলকারখানা স্থপিত হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। বেকারত্ব দূর হবে। বাংলাদেশের রপ্তানীখাতের ৯০ শতাংশ চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়, কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে তা মোংলা বন্দর দিয়ে হবে। দূরত্ব কমে যাবে। ব্যয় সংকোচন হবে। ফলে আয় বৃদ্ধি পাবে।
এড. সাইফুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের সহজ যাতায়াতের সুবিধার্থে খুলনায় বিমান বন্দরের প্রয়োজন হবে। বিমান বন্দর তৈরি হলে মোংলা বন্দর গতিশীল হবে। পাঁচ তারকা হোটেলসহ আবাসন ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী ও মজবুত হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।