খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই : ফখরুল
  নাটোরে লালপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ স্কুলশিক্ষার্থী নিহত

এসেনসিয়াল ড্রাগসে ৪৬৭ কোটি লোপাট : অনুসন্ধানের নির্দেশ

গেজেট ডেস্ক

দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা স্বাধীনভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান চলমান রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান শেষ হলে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (২ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। এসেনসিয়াল ড্রাগসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু ও অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল।

এর আগে গত ১২ মার্চ দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রোববার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। দুদক এ ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য আবারও সময় আবেদন করে।

গত ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সরকারি অডিটে ৩২ অনিয়ম, ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ এক সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। ক্যান্টিন বন্ধ, কিন্তু ভর্তুকির বিল তোলা হয়েছে। কাঁচামালের তুলনায় ওষুধের উৎপাদন কম দেখিয়ে করা হয়েছে তছরুপ। এছাড়া বিধি লঙ্ঘন করে হয় টেন্ডার প্রদান ও বিনা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ বাণিজ্য- এমন কোনো অনিয়ম নেই যা এখানে হয়নি।

দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি অডিটেই আর্থিক বড় দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩২টি গুরুতর অনিয়মে সরকারি ৪৭৭ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায় যেসব অনিয়ম ধরা পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে- নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, ব্যবহৃত কাঁচামালের চেয়ে ওষুধ উৎপাদন কম দেখানো, উৎপাদিত ওষুধে সঠিক মাত্রায় কাঁচামাল ব্যবহার না করে গুণগত ওষুধ উৎপাদন না করা, কনডম প্রস্তুতে কাঁচামালের ঘাটতি, বনভোজনের নামে ভ্রমণভাতা, করোনাকালীন ক্যান্টিন বন্ধ থাকলেও প্রাপ্যতা না হওয়া সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদেরকে অনিয়মিতভাবে ক্যান্টিনে সাবসিডি প্রদানের নামে টাকা আত্মসাৎ।

এছাড়া উচ্চমূল্যে বিভিন্ন জিনিস কিনে সরকারি অর্থ লুটপাট, সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান না করে ভাগাভাগির মাধ্যমে সরবরাহকারীদের কার্যাদেশ প্রদান-পূর্বক মালামাল ক্রয় সংস্থার আর্থিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম উঠে এসেছে নিরীক্ষায়।

প্রাথমিকভাবে ইস্যুকৃত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫১টি আপত্তি তুলেছে অডিট কমিটি। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল কমিটি ১৯টি আপত্তি বাতিল করে দেয়। বাকি ৩২টিকে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম (এসএফআই) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!