বাজারে আমড়া পাওয়া যাচ্ছে। খুব সহজলভ্য এ ফলটির পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। পুষ্টিবিদরা বলেন প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন সি থাকে ২০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি থাকে ১০.২৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম-আয়রন-ক্যারোটিন থাকে যথাক্রমে ৫৫ মিলিগ্রাম, ৩.৯ মিলিগ্রাম, ৮০০ মাইক্রোগ্রাম। আমড়ায় শর্করা থাকে ১৫ গ্রাম এবং প্রোটিন থাকে ১.১ গ্রাম।
দেশি ফল আমড়া ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর। তাই এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ এ ফল খেলে হজমজনিত সমস্যা দূর হয়। এতে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।
এসময় যে কারণে আমড়া খাওয়া উচিত:
• আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি হাড় ও দাঁতের রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করে। যারা ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে চান এবং বিভিন্ন ফ্লু থেকে বেঁচে থাকতে চান, তারা আমড়া খেতে পারেন। কেননা এ ফলটি বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
• আমড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন শরীরের জন্য অপরিহার্য উপাদান। এ উপাদানটি রক্তস্বল্পতা এবং অন্যান্য রক্তের সমস্যা প্রতিরোধ করে। আয়রন হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা পুরো শরীরে অক্সিজেন স্থানান্তর করে।
• আমড়ায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরে ফ্রি র্যািডিক্যালের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
• অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলোর মধ্যে একটি হলো থায়ামিন, যা আমড়ায় থাকে। এ উপাদানটি পেশী সংকোচন এবং স্নায়ু সংকেত সঞ্চালনে সহায়তা করে।
• যাদের খাবার খেতে ইচ্ছে করে না, তারা আমড়া খেতে পারেন। কেননা আমড়াকে বলা হয় রুচিবর্ধক ফল। এ ফল খেলে মুখের রুচি বাড়ে।
• স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বেঁচে থাকতে নিয়মিত আমড়া খেতে পারেন। এমনকি এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতেও ভূমিকা রাখে।
• যাদের ত্বকে ব্রণ-পিম্পল-র্যা শ হয়, তারা আমড়া খেয়ে দেখুন। এ ফল ব্রণের প্রকোপ কমাতে ও সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করে।
খুলনা গেজেট/এনএম