করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৈরি এ পাঠ্যসূচি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে সিলেবাসের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে তৈরি করা সিলেবাসের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা এটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছি।
এদিকে গত ২৫ জানুয়ারি এসএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তা নিয়ে আপত্তি জানায় অনেক শিক্ষার্থী। এরপর সিলেবাসটি আরও সংক্ষিপ্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি সিলেবাসটি আরও সংক্ষিপ্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এনসিটিবিকে।
এদিকে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। করোনাইরাস মহামারিজনিত পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।
সেজন্য এই সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
অধ্যাপক সাহা বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণিতে পাঠদান করা সম্ভব হয়েছে কিন্তু দশম শ্রেণিতে পাঠদান সম্ভব হয়নি। এইচএসসির ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে।’ সে বিবেচনা থেকেই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসির ক্ষেত্রে ৬০ কর্ম দিবসে যতটুকু পড়ানো সম্ভব হবে ঠিক ততটুকু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিলেবাসে। এইচএসসির ক্ষেত্রেও সেরকম ৮৪টি কর্মদিবস বিবেচনায় রেখে যতটুকু পাঠদান সম্ভব হবে সেটুকুর উপরেই পরীক্ষা নেয়া হবে,’-বলেন অধ্যাপক সাহা।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলবে এবং কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোন তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের ধারণা দিয়েছিলেন যে জুন মাসে এসএসসি এবং জুলাই-অগাস্ট মাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেজন্য মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এসএসসি এবং জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এইচএসসির ক্লাস শেষ করা হবে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
খুলনা গেজেট / এআর