চলতি বছর এশিয়া কাপ হচ্ছে না। করোনার ধাক্কায় স্থগিত হয়েছে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর। স্থগিত হওয়া এ টুর্নামেন্ট আগামী বছরের জুনে আয়োজনের ইচ্ছা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি)। আবার ২০২২ সালেও হবে এশিয়া কাপ। পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী শ্রীলঙ্কাতেই হবে ২০২১ এশিয়া কাপ। ২০২২ সালে পাকিস্তান হবে আয়োজক। কিন্তু গুঞ্জন ছড়িয়েছে ২০২১ সালে এশিয়া কাপ নিয়ে ভিন্ন চিন্তা করছে এসিসি! পরপর দুই বছর দুইটি এশিয়া কাপ আয়োজনে বেশ কিছু জটিলতা দেখছে আয়োজকরা। এজন্য বাতিলের চিন্তাও আসছে।
তবে এগুলো নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি বলে দাবি করলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন। সোমবার বিকেলে তিনি বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ বাতিল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এসিসি তাদের সবশেষ বৈঠকেই স্পষ্ট করেছে ২০২১ এবং ২০২২ সালে দুইটি এশিয়া কাপ হবে। এখনও সেই পরিকল্পনাতেই আছে এসিসি।’
তবে এশিয়া কাপ কোনো কারণে বাতিল হলে বিসিবি তিন মিলিয়ন ডলার হারাবে। বাংলাদেশি টাকায় যা ২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে। শুধুমাত্র এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করেই এ অর্থ পেত অংশগ্রহণকারী দলগুলো। যদি এশিয়া কাপ না হয় তাহলে বিশাল অঙ্কের অর্থ হারাবে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শুধু বাংলাদেশ-ই নয়, এ অর্থ থেকে বঞ্চিত হবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাও।
বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য এসিসি সব সময়ই অংশ্রগহণকারী দেশগুলোকে ভালো অর্থ দিয়ে থাকে। এবারের এশিয়া কাপ থেকেও ৩ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যেত। এটা সামনেও পাওয়া যাবে। যদি টুর্নামেন্ট আগামী বছর অনুষ্ঠিত হয় তাহলেও ওই অ্যামাউন্ট আমরা পাবো।’
খুলনা গেজেট/এএমআর