আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মহান আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা পালন করেছেন। বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে মুসলমানরা এদিন তাঁদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবেন। এরই মধ্যে রেডিও-টিভিতে-পাড়া-মহল্লায় বেজে উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই অতিচেনা গানের প্রিয় সুর, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ…।’
খুলনাসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এবার খুলনার প্রধান জামাত সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সকালে আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে টাউন জামে মসজিদে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করেছেন।
ঈদ উদ্যাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, প্রবীণনিবাস, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, সেফহোমস, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র, দুস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবে।
ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কেসিসির আওতাধীন সব শিশুপার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ খচিত ব্যানার মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারি ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ