বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৯৭৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০৬ টাকা করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) এই দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। পহেলা মে থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হলেও সরেজমিনে মিলছে ভিন্ন চিত্র।
নগরীর সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী, ময়লাপোতাসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক নির্ধারিত ১ মে থেকে সিলিন্ডার প্রতি ৯০৬ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও কোথাও তা মানা হচ্ছে না।
নগরীর ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন কাশেম স্টোরে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম জানতে চাইলে বলেন, “বসুন্ধরা বিক্রি করছি ৯৭০ টাকায়, বাকিগুলো ৯৫০ টাকায় দেওয়া যাবে।” নতুন করে দাম কমিয়ে ৯০৬ টাকা করা হয়েছে তারপরেও বেশি দাম চাইছেন কেন ? জানতে চাইলে দোকানের মালিক আবুল কাশেম বলেন, “নতুন রেটের মাল ডিস্ট্রিবিউটার থেকে ডিলার, ডিলার থেকে পরে আমাদের কাছে আসবে। আমরা এখনো নতুন রেটের মাল হাতে পাইনি, এজন্য আগের দামেই বিক্রি করছি। দাম কমতে ভাই এখনো সময় লাগবে।”
গল্লামারী মোড়ের সেতু ট্রেডার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি আসিফ বলেন, “গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমেছে টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখেছি, তবে নতুন রেটের সিলিন্ডার আমরা হাতে পাইনি। নতুন সিলিন্ডার হাতে পেলে অবশ্যই আমরাও দাম কম রাখবো।”
গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, “সিলিন্ডারের দাম যখন সাত ’শ থেকে এক লাফে হাজারে গেলো, দোকানদাররাও সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দিলো। এখন দাম কমেছে কিন্তু দোকানীরা সহজে দাম কমাচ্ছে না। আমরা সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছি এদের কাছে। যে যেভাবে পারছে লুটেপুটে খাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। এর আগে গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে এ সংস্থা। ওই সময় বলা হয়, বিশ্ব বাজারের সাথে মিল রেখে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি