খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস
দুদকের মামলা

এলজিইডি’র সেই প্রকৌশলীর স্ত্রীরও ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ!

গেজেট ডেস্ক

চা বিক্রেতা, পান বিক্রেতা, মুদি দোকানদার, কাঠমিস্ত্রি, কৃষক এবং প্রবাসী শ্রমিকের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ২০৩.৫ শতাংশ জমি দান হিসেবে গ্রহণ ও মৎস্য আয়সহ মোট ৪ কোটি ২০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় ফেঁসেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মজিবুর রহমান সিকদার।

গত ১৪ মে মামলা দায়ের করার ৬ দিনের মাথায় একই ধরনের অভিযোগে তার স্ত্রী কামরুন নাহারের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়া রেকর্ডপত্র দেখিয়ে মৎস্য আয়সহ ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুদকের উপপরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদকে বৈধ করার পূর্বপরিকল্পনায় মৎস্য আয়ের সমর্থনে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে সম্পদ বিবরণীতে ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৮২২ টাকা গোপনসহ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ২৭৫ টাকার সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৫ কোটি ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন কামরুন নাহার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মৎস্য থেকে আয় হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে ২০২০-২১ করবর্ষে আয়কর নথি অনুসারে নিট সম্পদ পাওয়া যায় ৬ কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৮ টাকা। অর্থাৎ আসামি কামরুন নাহার ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৮২২ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

অন্যদিকে আসামির আয়কর নথির ধারাবাহিক প্রদর্শিত আয় ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ৮১৪ টাকার মধ্যে আয়কর অধ্যাদেশের ১৯-এ ধারায় সুযোগ নেওয়াসহ অন্যান্য অব্যাখ্যায়িত বিনিয়োগসহ বৈধ উৎস ব্যতীত প্রদর্শিত আয় ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ২৭৫ টাকা ও রাখিমালের ব্যবসা বাবদ দাবি করা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকাসহ মোট ৬ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ২৭৫ টাকা গ্রহণযোগ্য নয় বলে দুদক মনে করে। কারণ আসামি অবৈধ আয়কে বৈধ করার উদ্দেশ্যেই আয়কর নথি খোলার ২০ বছর পর ও দুদকের অনুসন্ধান চলমানকালীন সময়ে কালো টাকা সাদা করার সুবিধা নিয়ে অবৈধ আয়কে বৈধ করেছেন।

খুলনা গেজেট/এএজে

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!