সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী নিবাসে স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে একটি প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। পরে পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় সিলেটে তোলপাড় চলছে। এখন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন এক দম্পত্তি। রাত ৯ টার কয়েকজন স্বামীকে মারধোর করে স্ত্রীকে ছিনিয়ে মহিলা ছাত্রী নিবাসে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর পিছু পিছু স্বামী ছাত্রাবাসে পৌছলে তাকে রশি দিয়ে বেধে ফেলে তারা। এক পর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই বধুকে ৫-৬ জন পালাক্রমে ধর্ষন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌছলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এদিকে- গুরুতর অবস্থায় ওই বধুকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন স্বামী।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) জ্যোর্তিময় সরকার জানিয়েছেন- পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে ছাত্রী নিবাস থেকে উদ্ধার করে। এরপর স্ত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- নব নির্মিত ওই ছাত্রী নিবাসটি ফাঁকা রয়েছে। এ কারণে সেখানে বখাটেরা রাতে আড্ডা দিতো।
এদিকে-ধর্ষকরা একটি প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠনের কর্মী বলে জানা গেছে। তারা করোনাকালে ফাকা হোস্টেলে আড্ডার পাশাপাশি মাদক সেবন করতো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তারা জানান- এ নিয়ে বার বার অভিযোগ জানালেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
খুলনা গেজেট / এমএম