সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধু।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে তিনি সে রাতে কী ঘটেছিলো তার বর্ণনা দেন।
দুপুরে পুলিশ ওই তরুণীকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে আদালতে নিয়ে আসে। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি আদালতে ওই রাতের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত তার জবানববন্দি লিবিবদ্ধ করেন।
এদিকে, রবিববার সকালে গণধর্ষণ মামলার ছয় আসামির মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছাতক সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান (২৮) কে গ্রেপ্তার করে। রবিবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক শহর সংলগ্ন নোয়ারাই ইউনিয়নের নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে ছাতক থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর পরই সে ছাতক চলে আসে। ভারতে পালানোর সুযোগ খুঁজতে থাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন।
ধর্ষক সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই নিবাসী তাহিদ মিয়ার ছেলে। বর্তমানে (৫ম ব্লক, এমসি কলেজ হোস্টেল সুপারের বাংলো) শাহপরান সিলেটের বাসিন্দা।
আর, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অর্জুন জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে।
প্রসঙ্গত, স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এক গৃহবধূ। ক্যাম্পাস রোডে শুক্রবার বিকেলে ঘুরতে যান স্বামী-স্ত্রী দুজন। অভিযোগ, এ সময় ৫-৬ জন তাদের তুলে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। এরপর স্বামীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগির স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। যেখানে আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান মনি, অর্জুন শস্কর, বহিরাগত রবিউল ও তারেক। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও তিন জন।
খুলনা গেজেট /এমএম