মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজি। পার্ক ডে প্রিন্সেসে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে যেন রোমাঞ্চ ছড়িয়ে পড়ে। এদিন, শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদকে চেপে ধরে এমবাপ্পে-মেসি ও ডি মারিয়ার সমন্বয়ে গঠিত পিএসজির আক্রমণ ভাগ। পাশাপাশি দুই প্রান্ত থেকে মেন্ডেস ও হাকিমিও বারবার রিয়ালের ডিফেন্সে ত্রাস ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের অধিকাংশ সময়ই রক্ষণাত্বক মেজাজে খেলেছে। শেষ কবে তারা এমন কৌশলে খেলেছে তা খুঁজতে গিয়ে দিশেহারা সমর্থকরাও। চোট সারিয়ে আজ শুরুর একাদশেই ছিলেন রিয়াল অধিনায়ক করিম বেনজেমা। কিন্তু পুরোটা সময় কেবল নিজের ছায়া হয়েই থেকেছেন তিনি। শেষ দিকে তাকে উঠিয়ে গ্যারেথ বেলকে মাঠে নামান রিয়াল কোচ। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে নেইমারের এসিস্টে পিএসজির জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা হয়তো ড্র তেই শেষ হবে। কারণ, পুরো ম্যাচের ৫৮ শতাংশ বল পিএসজির দখলে ছিল। রিয়ালের গোলমুখে তারা আক্রমণ করেছে ২১ বার, লক্ষ্য বরাবর শট হয়েছে ৮টি এবং কর্ণার পেয়েছে ৭টি। এর বাইরে একটি পেনাল্টিও পায় পিএসজি। কিন্তু গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিওনেল মেসি। ভাগ্যিস, শেষ মুহূর্তে এমবাপ্পে গোলটা করেছেন, নয়তো এই ম্যাচে মেসিকে ভিলেন হতে হতো।
আলো ছড়িয়েছেন নেইমারও। চোট থেকে সুস্থ হয়ে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় পর মাঠে নেমেছেন। তাও চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় রিয়াল মাদ্রিদের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এর পরই সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নেন। রিয়ালের ডিফেন্সে বেশ কয়েকবার ক্রাস ছড়িয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।