সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো এক রিপোর্টের ভিত্তিতে এ তথ্য জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সূত্রটি জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ নতুন করে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখা বেড়ে দাড়ালো মোট ৩৮৮ জন।
অপরদিকে সোমবার (১৩ জুলাই) ভোর রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আকতার হোসেন (৫২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন ওই কৃষক। এরপর সোমবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার লাশ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
এ নিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি রিপোর্ট পজিটিভ ছিল বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য শহরের মুনজিতপুর এলাকার মীর মোস্তাক আহমেদ রবি (৫৮)সহ নতুন করে আরো ৬ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত অন্যরা হলেন, সাতক্ষীরার বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী শহরের ইটাগাছা এলাকার আলহাজ্ব আব্দুস সবুর সরদার (৬৮), তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৮) ও তাদের ছেলে স্থানীয় দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক আ,ন,ম আবু সাইদ (৪২), সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের প্রসাদ কুমার (৫৮) এবং তালা উপজেলার মুরাকোলিয়া গ্রামের হাজেরা বেগম(৩৩)।
সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পারিবারিক সূত্র জানায়, উপসর্গ দেখা দিলে সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ বলে রবিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা।
খুলনা গেজেট/এমএম