কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন জাফর আলমের সমর্থকেরা।
চকরিয়ায় প্রধান সড়কের প্রায় ছয়টি পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে গতকাল মধ্যরাতে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গতকাল রাতে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য জাফর আলমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ করারও সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া সাংগঠনিক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সরওয়ার আলমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় সামসময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা এবং স্থগিত ১৫ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও দুটি পৌরসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চকরিয়া পৌর নির্বাচনে নিজ ভাতিজাকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এবং গত ৮ জুন মঙ্গলবার রাতে দলীয় মেয়রপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন সাংসদ ও তাঁর লোকজন। এ ঘটনায় সাংসদ জাফর ছাড়াও চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও সাংসদের এপিএস হাসানুল ইসলাম আদরকেও দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।