এক সেশনেই নির্ধারণ হয়ে গেল ঢাকা টেস্টের ভাগ্য। রাকিম কর্নওয়ালের স্পিনঘূর্ণিতে শেষ বিকেলে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। জয়ের কাছে গিয়েও ১৭ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরপর দুই টেস্টে এমন বাজে হারের জন্য ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সামনে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাপন বলেছেন, এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। টিম ম্যানেজমেন্টকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিসিবিপ্রধান।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাপন বলেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলা বা কৌশল বলেন, আমার কাছে ভালো লাগেনি। এটা আপনাদের কাছেও মনে হতে পারে। এত বছর ধরে খেলা দেখেন, আপনারা যেটা ভাবেন যে, এটা হওয়া উচিত কিন্তু হচ্ছে না কেন? বাংলাদেশের টপ যারা, বিশ্বমানের ক্রিকেটার; তাদের কি এখনো বলে দিতে হবে, টেস্টে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়? এগুলো তো বলে দেওয়ার কথা নয়। সমাধান খুবই সহজ, সমাধান হবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। আমি আফগানিস্তানের পর বেশি কিছু বলতে চাইনি। কিন্তু আজকে আপনাদের আমি বললাম, পরিবর্তন করতেই হবে, অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবেই হোক পরিবর্তন চাই।’
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুই টেস্টেই একজন করে পেসার খেলানো হয়েছে। এই ব্যাপারটিও মনে ধরেনি বিসিবিপ্রধানের। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস হঠাৎ করে দেখছি যে, আফগানিস্তান সিরিজ থেকে শুরু হয়েছে স্পিন উইকেট। আমাদের একটা সময় ছিল স্পিনে আমরা মোটামুটি ভালো ছিলাম। কারণ আমাদের পেস বিভাগ ভালো ছিল না। আমাদের পেস বোলার ছিল না। তিন বছর ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভাবছি, কীভাবে পেস বান্ধব উইকেট বানানো যায়। এখন আমাদের অনেক ভালো ভালো পেসার আছে। তবুও পরিবর্তন আনা হয় না। খেলানো তো হয়ই না। এই দলেও তো পাঁচ জন পেসার ছিল। কেন খেলছে না? চট্টগ্রামে খেলার কথা ছিল, খেলানো হয়নি। এখানেও অন্তত দুজন খেলবে আমাকে কনফার্ম করেছে। কিন্তু খেলেনি কেন? আমাকে তো বলা হয়েছিল খেলবে। পরে তো দেখি নামছে না। অধিনায়ক আর কোচ সিদ্ধান্ত নেবে, এখানে আর আমরা কেউ নেই। (জবাবদিহি) চাইব সবার কাছে অবশ্যই। শুধু অধিনায়ক আর কোচ নয়, সবার কাছেই চাইব।’
খুলনা গেজেট/ টি আই