খুলনা, বাংলাদেশ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা মারা গেছেন
  গাজায় আরও ১৩৮ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল

এবার রাবির হলে ছাত্রীকে নির্যাতন, মেডিকেলে ভর্তি

গেজেট ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে ৭দিন যাবত বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ওই হলের দোলন নামের এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার নির্যাতন সইতে না পেরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে গেলে পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন সুমাইয়া সুলতানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ওই হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতির ইন্ধনে এমন কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গত ২০শে ফেব্রুয়ারি পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী সুমাইয়ার সাথে অভিযুক্ত দোলনের কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দোলন রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে অভিযুক্ত দোলন ওইদিন রাতেই হলের দায়িত্বরত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবার সামনে ক্ষমা চাইলেও ছাত্রলীগের দায়িত্বরত নেত্রীরা তাকে বিভিন্নভাবে শাসান। এরপর দোলন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রয়ের সহায়তায় প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

৭দিন যাবত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রুমে ডাকা ও বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেন দোলন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রয়।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত দোলনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই হলের প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তাঁর কক্ষে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অভিযুক্ত দোলন। ভিতরে আলোচনা চলাকালীন এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যান। পরে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। বর্তমানে সে রামেকের ১৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলনকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠুতদন্ত সাপেক্ষে দোলনসহ অভিযুক্তদের হল বহিষ্কারসহ ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সকল শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতার হল প্রাধ্যক্ষ প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে ইচ্ছুক নন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকেই আমার দপ্তরে ডেকেছি। নির্যাতনের বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/ বিএমএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!