খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ মাঘ, ১৪৩১ | ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  চাকরিতে পুনর্বহাল হচ্ছেন ১৫২২ পুলিশ সদস্য

এবার ভাঙচুরের অভিযোগে পরীমনির বিরুদ্ধে জিডি

গেজেট ডেস্ক

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুলশান-২ এলাকার অল কমিউনিটি ক্লাব ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বাহিনীটি।

বুধবার (১৬ জুন) এই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, ‘গত ৭ জুন রাতে কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে তার (পরীমনির) বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কবে এই জিডি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ৭ জুন রাতে।’

জিডিতে কী বলা হয়েছে, জানতে চাইলে সুদীপ বলেন, ‘অভিযোগ যে, উনি আনঅথরাইজড ওখানে গেছেন। তারপর ক্লাব মেম্বারসদের যে জায়গা ছিল, ওখানে নাকি বসতে চেয়েছেন, তারপর নাকি ভাঙচুর করেছেন। এইগুলো আরকি।’

ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে পরীমনির বিরুদ্ধে জিডির বিষয়টি নিয়ে জানতে গুলশান থানায় ফোন করা হলে কেউ তা রিসিভ করেননি। আর পরীমনির ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি ।

পরীমনি অভিযোগ করেছেন, ঢাকার বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে গত ৯ জুন রাতে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

সেই ঘটনায় তিনি ওই ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, সেদিন তাকে নিয়ে যাওয়া অমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গত সোমবার। সেদিনই গ্রেপ্তার হন আসামিরা।

গ্রেপ্তার হওয়ার আগে নাসির বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি উল্টো সেই রাতে পরীমনি ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধেই ক্লাবে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ আনেন।

নাসিরের দাবি, পরীমনি তাদের ক্লাবে গিয়ে দামি মদ দেখে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করেন। তারা বাধা দিলে এই নায়িকার সঙ্গীরা তাদের ওপর হামলা করেন। পরীমনি সে সময় চেঁচামেচি করেন, ভাঙচুর চালান।

তবে পরীমনির বর্ণনা ভিন্ন। তিনি দাবি করেন, অমি জরুরি কাজে সেই ক্লাবে যান। তখন তারা ছিলেন গাড়িতে। টয়লেটে যাওয়ার জন্য তারাও নামেন।

সেই ক্লাবে পরে তার সঙ্গী জিমিকে মারধর করা হয়, তার মুখে জোর করে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আর তাতে নেশাজাতীয় কিছু থাকতে পারে বলে তার ধারণা।

সেই রাতে সেখান থেকে মুক্ত হয়ে বনানী থানায়ও গিয়েছিলেন বলে জানান পরীমনি। কিন্তু থানা তার অভিযোগ গ্রহণ করেনি। এরপর গত রোববার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন। পরে ওই রাতেই গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে বিস্তারিত খুলে বলেন। পরদিন সকালে তিনি মামলা করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!