নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর এবার পৃথক দু’টি স্থানে দুই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চাটখিলে বসতঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে (২৯) ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) ভোরে এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন। দুপুরে মজিবুল রহমান শরীফ (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং ফোনে ভিডিও চিত্র ধারণের পর ইন্টারনেটে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পূর্ব ছাতারপাইয়া গ্রাম থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আটককৃতরা হলো, উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব ছাতারপাইয়া এলাকার শুভ (১৯), হাসান (১৯), রকি (২০)।
চাটখিলের ঘটনায় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভোর ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শরীফ কৌশলে গৃহবধূর টিনশেড ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে পালিয়ে যায়। পরে দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াছিন বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ ৮টি মামলা রয়েছে।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল মিয়া জানান, শরীফকে আটক করলেও ভিডিও ধারণ করা ফোনটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সেনবাগের ঘটনায় মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাতে বাড়ির ভেতর চাচাতো দেবর ঘরে ঢzকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষকের সহযোগীরা ওই গৃহবধূকে ধর্ষকের পাশে বসিয়ে মুঠোফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে ইন্টারনেটে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ ও তার স্বামীর কাছে ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে পারভেজ ও তার সহযোগীরা।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম