ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে নতুন জামা কাপড়। সেই সাথে নতুন জুতা ও স্যান্ডেল না হলে কি আর চলে। তবে সেই জুতা ও স্যান্ডেলকে হতে হবে টেকসই। সকলের জামা কাপড় কেনা শেষে। এবার ক্রেতারা ছুটছে জুতা স্যান্ডেলের দোকানে। তাই তো গত দু’দিন ধরে নগরীর ডাকবাংলো মোড় ও আশপাশের এলাকার জুতা স্যান্ডেল দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় বাড়ছে। আরও তাদের সামাল দিতে দোকান মালিক এবং কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) নগরীর ডাকবাংলো মোড় এলাকার কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের অনেক ভীড়। শেষ মুহুর্তে ক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ গেলবারের তুলনায় এবার জুতা স্যান্ডেলের দাম একটু বেশী। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন বৈদেশিক মুদ্রার দাম বেশী হওয়ায় এবারে জুতা ও স্যান্ডেলের দাম বেশী।
নগরীর ডাকবাংলো মোড় এলাকার স্টেপ এর ব্যবস্থাপক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ১০ রমাদান থেকে তার প্রতিষ্ঠানের বিকিকিনি শুরু হয়েছে। রমাদান শেষ হওয়ার আগ মুহুর্তে ভীড় যেন বেড়ে চলেছে। এ প্রতিষ্ঠানে চায়নার জুতা ও স্যান্ডেল রয়েছে। দেশি কোন প্রডাক্ট তার দোকানে নেই। উঠতি বয়সের তরুণ ও তরুণীদের ভীড় হয় এখানে। নতুন নতুন কলেকশন রয়েছে এখানে। ক্রেতারা তাদের পোশাকের সাথে ম্যাচ করে পছন্দের স্যান্ডেল নিচ্ছেন এখান থেকে। তার দোকানে দু’ ফিতার স্লিপার ৬৯০-১৮০০ টাকায়, হাফ লোফার ১৮০০-২৪০০ এবং স্লাইডড ৬৯০-১৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, তার দোকানে বর্তমানে সু বিক্রি কম হচ্ছে। ডলারের সংকট থাকায় ইমপোর্টরা ছোট বচ্চাদের সাইজ মেলাতে পারছেনা। যে কারণে তার এ প্রতিষ্ঠানে ছোটদের কোন জুতা ও স্যান্ডেল নেই বলে এ প্রতিবেদককে আরও জানান।
কথা হয় দোকানে আসা এক তরুণীর সাথে। তিনি তার পোষাকের সাথে মিল রেখে স্যান্ডেল কিনতে পারছিলেন না। দু’ঘন্টা ঘুরে ওই দোকানে এসে পোষাকের সাথে মিল রেখে স্টেন দেওয়া একটি স্যান্ডেল কিনেছেন। তবে স্যান্ডেলের দাম একটু বেশী বলে ওই তরুণীর অভিযোগ।
লোটোর শো রুম ইনচার্জ কাজী জামিল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লোফার, মোকাসিস এবং স্পোটর্স স্যান্ডেল। তরুণীদের রয়েছে চাপলিস, স্লিপার এবং ফ্রিফ্লপ। এখানে তরুণীদের চেয়ে তরুণদের ভীড় হয় বেশী। তবে ইফতারের পর এখানে বিক্রি হয় বেশী। লোটো যেহেতু ইতালী ব্রান্ড ক্রেতাদের আস্থার প্রতীক। টেকসই পণ্য কিনে ক্রেতারা হয় ধন্য। তবে বিকিকিনি ঈদের আগদিন সারারাত চলবে বলে তিনি জানান।
সম্রাট বাজারে কথা হয় ছোট রুহিনের সাথে। সে জানায় রোজার প্রথম দিকে তার জামা কাপড় এবং পাঞ্জাবী কিনেছে। পাঞ্জাবীর সাথে একটা স্যান্ডেল না হলে তার চলবেনা। তাই বাবা মায়ের সাথে দুপুরে স্যান্ডেল কিনতে ওই দোকানে আসা তার। স্যান্ডেল কিনে মহা খুশি রুহিন। তবে বাবার অভিযোগ জুতার দাম এবার একটু বেশী।
খুলনা গেজেট/এএজে