অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। এরপরই এবার কোন ৪ দল বিশ্বকাপ জিততে পারে তা জানিয়ে দিয়েছেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। তার ফেভারিট তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনাসহ ব্রাজিল, ফ্রান্স ও স্পেন।
এবার কোন দল শিরোপা জিততে পারে তা জানিয়ে দিলো ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার হয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার ও জার্গেন ক্লিন্সম্যান। বর্তমানে ফিফার টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতি বিশ্বকাপে খেলার ধরন পাল্টে যায়। এবারও তাতে পরিবর্তন এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ২০২২ আসরে প্রায় প্রতিটি দলের ডিফেন্ডাররা একটু উপরে উঠে খেলছেন। মাঝমাঠেই প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভেস্তে দিচ্ছেন তারা।
তারা বলছেন, যে দলের উইং বেশি শক্তিশালী তারা তত উপকৃত হচ্ছে। এতে গোলের ধরন বদলে গেছে। বিপরীত দলের দুই পাশ দিয়ে অধিক গোল করছেন ফরোয়ার্ডরা। চলতি টুর্নামেন্টে গ্রুপপর্বে রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে এভাবে গোলের সংখ্যা ৮৩ শতাংশ বেশি।
ওয়েঙ্গার বলেন, মাঝমাঠের কাছাকাছি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের আক্রমণ আটকে দিচ্ছেন রক্ষণসেনারা। ফলে উইং ব্যবহার করে আক্রমণ করছেন মিডফিল্ডাররা।
তিনি বলেন, এবার মধ্যমাঠে ফুটবলারদের জটলা বেশি। যে কারণে ফাঁকা থাকছে দুই প্রান্ত। ফলে যে দলের উইং বেশি শক্তিশালী, তাদের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা তত।
আর্সেনালের সাবেক কোচের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে ক্লিন্সম্যান। তিনি বলেন, ফুটবলের চলমান বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে মাঝমাঠ দিয়ে আক্রমণ করা কঠিন। মিডফিল্ডার ও ডিফেন্ডাররা একটু কাছাকাছি দাঁড়াচ্ছেন। রক্ষণভাগের ফুটবলাররাও পরস্পরের বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছেন। আগের বিশ্বকাপের তুলনায় এবার ডিফেন্সে তাদের দূরত্ব কমেছে ৩৩ শতাংশ।
জার্মানির সাবেক কোচ বলেন, তাই কাতার বিশ্বকাপে ইউরোপের দলগুলোর তুলনায় ল্যাতিন আমেরিকার ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো দলগুলো এগিয়ে রয়েছে।সাধারণত, ওই অঞ্চলের ফুটবলাররা এভাবে খেলতে অভ্যস্ত। সুতরাং তাদের সোনালি ট্রফিতে চুমু আঁকার সম্ভাবনা বেশি।
তিনি বলেন, এ বছর খেলার গড় সময় বেড়েছে। কারণ, অতিরিক্ত সময়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে যা প্রভাব ফেলছে।