করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সামলে ব্যক্তিগত অনুশীলনে নেমেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে এখনও নারী ক্রিকেটাররা সে সুযোগ পাননি। সর্বশেষ গত ফেব্রæয়ারি মাসে বিশ^কাপ শেষ করে এসে এখনও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি সালমা-রুমানাদের। ওই বিশ^কাপের কাঙ্খিত সাফল্য পায়নি মেয়েরা। বিশ^কাপে নারীদের তখনকার কোচ অঞ্জু জৈনের বিপÿে বেশ কিছু অভিযোগও এসেছিলো। পরবর্তীতে কোচ অঞ্জুর সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি বিসিবি। এরপর থেকেই মেয়েদের জন্য নতুন কোচের খোঁজে রয়েছে বিসিবি। জানা গেছে, ঈদের পরেই মেয়েরা পেয়ে যেতে পারে তাদের নতুন কোচ।
মেয়েদের জাতীয় দলের কোচের পদ ফাঁকা পড়ে আছে গত ফেব্রুয়ারি থেকে। ভারতীয় কোচ অঞ্জু জৈনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই বিসিবি আছে নতুন কোচের সন্ধানে। দুই বছর আগে ভাষাগত সুবিধার কথা ভেবে মেয়েদের দলে ভারতীয় কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। কিন্তু অঞ্জু জৈনের কর্মকাণ্ডে বিসিবির বিরক্তির শেষ নেই। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে কোন্দল সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে জৈনের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জন্যও বিসিবি তাঁকেই দায়ী করে।
এলোমেলো হয়ে যাওয়া দলটাকে গোছাতে বিসিবি এবার চায় ইউরোপীয় কোচ নিয়োগ দিতে। করোনাকালে খেলা না থাকলেও বিসিবির কোচ খোঁজার কার্যক্রম চলছে। পাঁচজনের ছোট্ট তালিকা করাও শেষ। বিসিবি নারী উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী জানান ‘চার-পাঁচজনের নাম আছে আমাদের কাছে। হয়তো ইউরোপিয়ান কাউকেই নিতে হবে। আমরা আগে উপমহাদেশের কোচ এনে দেখেছি। আমাদের এলোমেলো হয়ে যাওয়া দলটাকে আবার ঠিক করতে হবে।’
চলতি জুলাই মাসেই হওয়ার কথা ছিল ২০২১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব, যা এর মধ্যে একবার স্থগিতও হয়েছে। বিশ্বকাপ হতে হলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব আয়োজন করতেই হবে। ইএসপিএন–ক্রিকইনফো জানিয়েছে, জুলাই মাসের বাছাইপর্ব চলে যেতে পারে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আগামী বছর জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে হওয়ার কথা মেয়েদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। তবে বাংলাদেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক আসর মাঠে নামানো কঠিন। আগামী বছরের শুরুতে এত বড় আয়োজনের সম্ভাবনা দেখছে না বিসিবি। সূত্র জানিয়েছে, করোনার ধাক্কায় মেয়েদের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপও পিছিয়ে যেতে পারে মাস ছয়েক বা তারও বেশি সময়ের জন্য। তবে বিসিবির নারী উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বিশ্বকাপের সম্ভাবনা নেই বলে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কার্যক্রম নিয়েও বিসিবির তেমন তাড়াহুড়ো নেই। এখন বরং চেষ্টা চলছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর। ছেলেদের মতো আলাদা আলাদা করে মেয়েদেরও অনুশীলনে ফেরানোর চিন্তা আছে। ঈদুল আজহার পরই সেটি দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শফিউল আলম।
খুলনা গেজেট/এএমআর