বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ সেদিনই সফল হবে, যেদিন এদেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে তাদের অধিকার ফিরে পাবে। রাজনৈতিক অধিকারের পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার পাবে, সেদিন আমাদের ’৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদ এবং একই সাথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন বা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগ সফলতা লাভ করবে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নিউমার্কেট চত্ত্বরে ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রক্তস্নাত দীর্ঘ সংগ্রাম ও ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার সকল অপচেষ্টা রুখতে এবং সাম্য ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানের লক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে যে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে, শিক্ষার নিরাপত্তা, কৃষকের অধিকার পর্যায়ক্রমে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমরা আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছি এখন আমাদের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। অর্ন্তরবতীকালীন সরকারের রোডম্যাপ নির্দিষ্ট করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে পাওয়া অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের ভেতর ও বাইরের। পতিত সরকারের দোসরদের চারপাশে বসিয়ে রেখে সংস্কার সম্ভব নয়। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে ফ্যাসিবাদের দালালরা। ডিসি হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকেই ফ্যাসিবাদের দোসর। এদের না সরালে সরকারকে বিপদে পড়তে হবে। বিভিন্ন বাহিনী থেকে ‘র’ এর এজেন্টদের সরাতে হবে। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে যারা দখলদারি করেছে, তাদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। এতে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা যদি ভাঙচুর, লুটপাট কিংবা জমি দখলের মতো কর্মকাণ্ড করেন, তাহলে তাঁদের আইনের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ জানান।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শেখ ফারুক হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, মো. ফকরুল আলম, রেহেনা ঈসা, বদরুল আনাম, শের আলম সান্টু, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, হাফিজুর রহমান মনি, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাংবাদিক নেতা এইচ এম আলাউদ্দিন, ডা. আকরামুজ্জামান, ব্যবসায়ী আলী হায়দার খান, একরামুল কবীর মিল্টন, শেখ জামাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, মজিবর রহমান, শফিকুল ইসলাম সফি, আজিজা খানম এলিজা, সাঈদ হাসান লাভলু, আসাদুজ্জামান আসাদ, মোস্তফা কামাল, কাজী নজরুল ইসলাম, কাজী মিজানুর রহমান, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, আজিজুর রহমান, আহসান হাবীব বাবু, মো. মিজানুর রশীদ, এস এম মনির, কামরুজ্জামান রুনু, আছাদুজ্জামান হারুন, আব্দুল হালিম, মোঃ জালাল শাহ, ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, মুসা খান, তরিকুল ইসলাম বাকার, ইয়াজুল ইসলাম এ্যাপোলো, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম বক্সী, সাইফুল ইসলাম মল্লিক, ডাঃ হালিম মোড়ল, লাবু বিশ্বাস, মুন্নি জামান, এ্যাড হেনা, সুলতান হোসেন, ফরহাদ হোসেন বক্সী, মো. বেলাল হোসেন, নজরুল ইসলাম বাবু, মোঃ মিজানুর রহমান, নুর হোসেন বাদল, মো. হুমায়ূন, মো. কালু, আনিসুর রহমান, মো. রিপন, নিজাম উদ্দীন আকন, তারিকুল ইসলাম বাবু প্রমূখ। সমাবেশের শুরুতে স্কীনে দেশনায়ক তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্রমেরামতের ৩১দফা জনগনের মাঝে তুলে ধরা হয় এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ মঞ্চ ছেড়ে গ্যালারিতে বসেন। খবর বিজ্ঞপ্তির।
খুলনা গেজেট/কেডি