স্যাঁত্স্যাঁতে উঠোনে
খেলা করে মেঘ ভর্তি রোদ
পড়ন্ত বেলার ভাত
পেটের ভিতর জ্বলছে উনুন
দাদু বলতেন ‘ভাত মজা না ভাত মজা’
পুঁইশাক দিয়ে এঁটে চচ্চড়ি
বাসি ডাল হেজে যাওয়া গন্ধ নাকে পর্যটনে মগ্ন
মরা ডালে কাকেরা সভা করে
দুটাকা দরের রেশনের চাল
পুঁইশাকের ঝোলে ভাতেরা কই মাছ হয় পর্বত জয় করে
কাঁচা লঙ্কা মেখে তৃপ্তির চুমু দিই
ছাপোষা সংসার ডানা ঝাপটায়
বি পি এল লিষ্টে নাম দেয়নি নেম্বারে
কেমন করে জেনে গেছে ভোট পড়েনি ওর বাক্সে
পোয়াতি বউ এর মুখটা বড্ড করুন
ভেবেছিল এবার হয়তো একটা ঘর হবে
লালিত স্বপ্নের মোহময় শিমুল ফুল পড়ে আছে ফুটপাতে
আকাশের গায়ে কারা যেন ছিটিয়ে দিয়েছে নুন
সীমানা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বসে আসর
কাজ হারানোর গান বাজছে ঘরে ঘরে
দেশি কুল দিয়ে চলবে বৌ এর সাদ্ ভক্ষন পর্ব
বড়ো বাড়ির মেয়েরা এখন বাঁধে না চুল
উত্তুঙ্গু যৌবন মেলে ধরে বাতাসে
পার্কের বেঞ্চিতে মেলে ধরে আলিঙ্গন
সভ্যতার বাতাসে ওড়ে ভ্যালেন্টাইনের কবিতা
নিত্য দিন ভাত শূন্য হাঁড়িতে রোদ হাবুডুবু খায়
ছেঁড়া সংসারে খেলা করে মা
কষ্টের ভারতবর্ষে কষ্টের পতাকা ওড়ে
এসেছে ভোটের মরশুম
পাড়ার মোড়ে মোড়ে পতাকায় আঁকা তোলপাড় করা চিত্র কলা
(মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে)