খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৪৪ ধারা জারি

এক যুগ পর বিপিএলের ফাইনালে চিটাগং

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গোল বলের খেলা ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়। কখনও কখনও নিশ্চিত জেতা ম্যাচে হারের ক্ষত নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তেমনই অভিজ্ঞতা হলো বিপিএলের দল খুলনা টাইগার্সের। শেষ বলে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের সেরা ব্যাটিংটাই করেন আলিস আল ইসলাম। তার ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে ফাইনাল হাতছাড়া হয় মিরাজদের। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মেগা ফাইনালে চিটাগংয়ের সঙ্গী তামিমের ফরচুন বরিশাল।

প্রায় ১২ বছরের বিরতির পর চলতি আসরে বিপিএলে ফিরেছে চিটাগং কিংস। ২০১৩ সালে সবশেষ অংশ নিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেবার ফাইনালে উঠলেও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে ৪৩ রানে হেরেছিল মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন দল। মিথুনদের সামনে সুযোগ এবার সেই আক্ষেপ মেটানোর। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় চিটাগং। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন খাজা নাফে। খুলনার হয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দলটি। হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৬ বলে ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। ৪ বলে ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর খাজা নাফে ও হুসাইন তালাত মিলে গড়েন ৪৮ বলে ৭০ জুটি। এই জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে দলটি। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় ফেরেন নাফে। আউটের আগে করেন ৪৬ বলে ৫৭ রান। তখনও ম্যাচে ছিল চিটাগং। তবে, দ্রুতই বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চিটাগং। তবে, লেজের সারির ব্যাটারদের দৃঢ়তায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চিটাগং।

এর আগে, ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দলীয় ১০ রানের মাথায় ফেরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ বলে মাত্র ২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর আরেক ব্যাটার অ্যালেক্স রস ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণে ব্যর্থ। মিরাজের সমান ৬ বল খেললেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।

শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে খুলনা। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও আফিফ হোসেন মিলে দলের বিপর্যয় সামালের চেষ্টা করেন। আফিফের বিদায়ে সেই জুটিও বড় হয়নি। ১৪ বলে ৮ রান করেন আফিফ। আর নাঈম ফেরেন ২২ বলে ১৯ করে। ৪২ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলা খুলনা ঘুঁরে দাঁড়ায় হেটমায়ার ও অঙ্কনের ব্যাটে।

এই দুই ব্যাটার মিলে রানের গতি সচল রাখার পাশাপাশি লড়াকু সংগ্রহের দিকে মনোযোগ দেন। ৪৩ বলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। তাতেই বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচে ফেরেন দলটি। ব্যক্তিগত ৩৮ রানের মাথায় একবার জীবন পান অঙ্কন। উইকেটের আরেক প্রান্তে থাকা হেটমায়ার ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন। শেষমেশ ৩২ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অঙ্কন। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৯ বলে ৭৩ রানের জুটি।

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!