কয়লা সংকটে দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩ মিনিটের সময় পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় কয়লা সংকটে গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাগেরহাটের রামপালে। উৎপাদন শুরু হওয়া একটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। চালু হওয়ার পর বর্তমানে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, পর্যায়ক্রমে তা বাড়বে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম গতকাল বুধবার রাতে বলেন, ‘কয়লার অভাবে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট বুধবার রাত ১১টা ৩ মিনিটের সময় পুনরায় চালু করা হয়েছে। মূলত কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি কয়লাবাহী জাহাজ ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক ৫ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।’
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে রামপালের এই কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছিল। কেন্দ্রটি থেকে রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। বাকি বিদ্যুৎ খুলনায় সরবরাহ করা হতো। শীতকালের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম থাকায় রামপাল কেন্দ্র বন্ধ রাখায় তেমন বিরূপ প্রভাব পড়েনি। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের প্রভাব রাজধানীসহ দেশজুড়ে পড়েছে। যার ফলে কিছু এলাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। এখন সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা আরো বাড়ছে, তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট /কেডি