একই সময়ে হওয়া অন্য মামলাগুলোতে জামিন পেলেও একটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় কারামুক্ত হতে পারছেন না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির এই নেতারা জড়িত নন। আদালত চাইলে তাদের জামিন দিতে পারেন।
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি ও রমনা মডেল থানায় তিনটি । বর্তমানে তিনি কারাগারে। তবে এই ১১ মামলার মধ্যে ১০টিতেই তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। শুধু প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। এ মামলায় আসামিপক্ষ আপিল করবে কি না- তা নিয়েই চলছে পরামর্শ।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ওইদিনই গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির এই নেতারা জড়িত নন। আদালত চাইলে তাদের জামিন দিতে পারেন
এ মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।