ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের একই দলে খেলতে দেখার শখ কার না আছে? সেই শখ পূরণ হতে পারে আফ্রো-এশিয়া কাপ দিয়ে। এই টুর্নামেন্টে যে বোর্ড সবচেয়ে বেশি আপত্তি জানাতে পারে বলে ধারণা করছিলেন অনেকে, এবার সেই বিসিসিআই আফ্রো-এশিয়া কাপে সম্মতি দিয়েছে। আফ্রো-এশিয়া কাপে একই দলে দেখা যেতে পারে কোহলি, সাকিব, বাবরদের।
শেষবার আফ্রো-এশিয়া কাপ হয়েছে ২০০৭ সালে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আবারও এই সিরিজ মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এবারও খেলা মাঠে গড়াতে পারে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। শীঘ্রই আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ জানিয়েছেন, আফ্রো-এশিয়া কাপের প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচকভাবেই ভাবছেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে বেশ কিছু প্রস্তাব এরইমধ্যে পেয়েছি। এই প্রতিযোগিতাটা দারুণ। এতে শুধু ব্যবসায়িক লাভই হবে না, আফ্রিকার ক্রিকেটেরও অনেক উন্নতি হবে। আমরা এখন আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখছি।’
২০০৭ সালে সর্বশেষ আফ্রো-এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ছাড়াও এশিয়ার একাদশে অংশ নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ রফিক। সেবার তিনটি ম্যাচই জিতেছিল এশিয়া একাদশ।
এবারও আফ্রো-এশিয়া কাপ হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দেখা যাবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের সাথে। থাকতে পারেন আফগান ক্রিকেটাররাও।
আফ্রো-এশিয়া কাপের আয়োজক মূলত এসিসি। সংস্থাটির কমার্শিয়াল হেড প্রভাকরণ থানরাজ কিছু দিন আগে বলেছিলেন, ‘বোর্ডের তরফ থেকে এখনও নিশ্চয়তা মেলেনি। এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। পুরো বিষয়টি দুই দেশের বোর্ডকে জানানো হবে। তবে এশিয়া একাদশের হয়ে ভারত-পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটাররা যাতে অংশ নেন, সেটাই আমরা চাইছি।’ ভারতের সবুজ সংকেত পাওয়ায় আফ্রো-এশিয়া কাপ নিয়ে সংশয় তাই অনেকটাই উবে গেছে।