যশোরের অভয়নগরে ওষুধ কোম্পানির ডিলারশিপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুল রউফ খাঁন নামে এক প্রতারক এক কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী সাত মৎস্যঘের মালিক নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মঈন গাজী। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে মৎস্যঘের মালিক। মাছের ঘেরে বিভিন্ন ধরণের ওষুধের প্রয়োজন হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে টেকনিকাল কেয়ার নামে একটি ওষুধ কোম্পানির মালিক পরিচয়ে আব্দুল রউফ খাঁন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি উদপাড়া গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে। তার কোম্পানির ‘ইউইএল ব্যাকট্রল’ নামে একটি ওষুধ মাছের ঘেরে ব্যবহারের পরামর্শ দেন। পরামর্শ মত দুই হাজার ৫শ টাকা কেজি দরে ওই ওষুধ কিনে আমরা ব্যবহার করতে শুরু করি। পাওডার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে ভালো ফলাফল আসছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আব্দুল রউফ খাঁন আমাদের এক এক জনের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ শুরু করেন।’
‘২০২৪ সালের জুলাই মাসে অভয়নগর উপজেলায় কোম্পানির ডিলারশিপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মৃত সাহেব আলী গাজীর ছেলে আমি মঈন গাজীর ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আমার ভাই জসিম গাজীর পাঁচ লাখ টাকা, একই গ্রামের মৃত মতুল সরদারের ছেলে রাজন সরদারের ২০ লাখ টাকা, রাজ্জাক গাজীর ছেলে জাকির গাজীর ২০ লাখ টাকা, আলম মোল্যার ছেলে কামরুল মোল্যার ১০ লাখ টাকা, সুন্দলী ইউনিয়নের গবিন্দপুর গ্রামের মৃত নিরাপদ ম-লের ছেলে অতীত ম-লের ৪০ লাখ টাকা ও মশিয়াহাটী গ্রামের সুভাষ বিশ্বাসের ছেলে মিল্টন বিশ্বাসের ২০ লাখ টাকা মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে অভয়নগর থেকে পালিয়ে যান তিনি।’
মঈন গাজী আরো বলেন, ‘এরপর আব্দুল রউফ খাঁনকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। স্থানীয় ও রাজশাহী পুলিশের সহযোগিতায়ও তার সন্ধান মেলেনি। বর্তমানে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যাংক, এনজিও ও সমিতি থেকে ঋণ করা টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ‘ইউইএল ব্যাকট্রল’ ওষুধের ডিলারশিপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুল রউফ খাঁন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতারক আব্দুল রউফ খাঁনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ টাকা ফিরে পেতে সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ ব্যাপারে আব্দুল রউফ খাঁনের নম্বরে বার বার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
খুলনা গেজেট/এএজে