বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ওয়াহিদ উন নবী। তার পিতা মৃত এস এম আব্দুল লতিফ ও মা মৃত মনিরা খাতুন। হাজী মহসীন রোডের লতিফ গার্ডেনের অধিবাসী জন্মেছেন ১৯৫১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। মৃত্যু ২০১৪ সালের ১১ মে।
১৯৬৮ সালে এসএসসি ও ১৯৭০ সালে খুলনা এমএম সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে বিএসসিতে ভর্তি হন। ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে খুলনা শহর ছেড়ে দাকোপ থানার কালীনগর খামার বাড়িতে অবস্থান করে শহরের খোঁজখবর নিতে থাকেন।
পাকবাহিনীর অত্যাচারের ফলে শহরে থেকে যুবকরা গ্রামের দিকে আসতে থাকলে তিনি তার ছোট ভাই জোয়াদুর রসুল বাবু ও জহুরুল হক বড় খোকাসহ গড়ইখালী নানা বাড়িতে অবস্থান করেন। তারপর এই তিন জন ভারতে চলে যান। জোয়াদুর রসুল বাবু ও জহুরুল হক বড় খোকা মুর্শিদাবাদের পলাশীতে নেভাল কমান্ডোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর ওয়াহিদ উন নবী বশিরহাট বিএলএফ ক্যাম্পে তালিকাভুক্ত হয়ে দেরাদুন মিলিটারি একাডেমি টা-ুয়ায় ৪৫ দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে তিনি ষষ্ঠ স্থান লাভ করেন।
প্রশিক্ষণে তার সহযোদ্ধারা হচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক সানা, শ্যামল কুমার, মতিয়ার রহমান, স ম আব্দুস সাত্তার, গাজী রুহুল আমিন, আব্দুর রবসহ অনেকেই। প্রশিক্ষণ শেষে ব্যারাকপুর মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টে ফিরে এসে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে পাইকগাছা থানার পাতড়াবুনিয়ায় বিএলএফ ক্যাম্পে যোগ দেন। লক্ষ্মীখোলা হাইস্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে স্থানীয় যুবকদের সংগঠিত করে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন।
পাইকগাছা থানার কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্পের ৫৮ ঘন্টা যুদ্ধ তার জীবনের স্মরণীয়। এ যুদ্ধে গাজী রুহুল আমিনের পায়ে গুলি লাগলে তাকে কাঁধে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। ১৪-১৭ ডিসেম্বর গল্লামারী রেডিও সেন্টার দখলের যুদ্ধে বুক ভরা গর্ব নিয়ে কমার্স কলেজে এসে ক্যাম্প স্থাপন
করেন।
(সূত্রঃ মোঃ আবু জাফর রচিত মুজিব বাহিনী খুলনা জেলা ৭১)
খুলনা গেজেট/এএ