পাঁচ কেজি আলু একশ’ টাকা। হাকডাক দিয়ে গত দু’দিন বিক্রি করছেন হকাররা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় এখন সব পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী। অস্বস্তির বাজারে একমাত্র আলুতে স্বস্তি রয়েছে। তবে স্বস্তির আলুর কদরও দিনদিন বাড়ছে। সাত কেজি থেকে এখন পাঁচ কেজি একশ’টাকায় পৌছেছে।
করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এখনও সচল হতে পারেনি। অনেকেই কর্মহীন, বেকার জীবন যাপন করছে। অর্থনৈতিক মন্দাভাব চলছে। তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। গত দু’বছর চাল ও তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের সংসার চালাতে গিয়ে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ বছরের শুরু থেকে আলুর দাম বেশ কম ছিল। অস্বস্তির বাজারে স্বস্তির ছায়া ছিল আলুতে। কিন্তু গত তিন দিনে আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর সোনাডাঙ্গা ট্রাক ট্রার্মিনালে কথা হয় ক্রেতা রবিউলের সাথে। তিনি বলেন, বাজারের শাকসবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিষের দাম মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু একমাত্র আলু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। পাঁচ কেজি আলু এখন একশ’টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বেড়ে চলেছে, তাতে মনে হয় আলুর দামও থেমে থাকবেনা। সংসারে ব্যবহারের জন্য তিনি ১০ কেজি আলু ক্রয় করেছেন।
পশ্চিম রূপসা বাজারের ক্রেতা এহতেশামুল হক শাওন, পেশায় একজন সাংবাদিক। কথা হলে তিনি জানান, গত কয়েকমাস ধরে অস্বস্তির বাজারে আলুতে স্বস্তি ছিল। তবে গত তিনদিন ধরে দেখছি বাজারে আলুর দাম বেড়েছে। বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দামের তুলনায় কম। মাসে তার ১০ কেজি আলুর প্রয়োজন হয়। দামে সস্তা থাকায় তিনি পাঁচ কেজি আলু ক্রয় করেছেন।
ট্রাক টার্মিনালের আলুর ব্যবসায়ী মো: মিলন বলেন, চোখ রাঙ্গাতে শুরু করেছে এ পণটি। আগে সাত কেজি আলু একশ’টাকায় বিক্রি করলেও এখন তা বিক্রি করতে পারছেন না। একপাল্লা আলু এখন একশ’ টাকা। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কৃষকরা আলুর ন্যায্য দাম পায়নি। তাছাড়া চলতি রাজশাহীর আলুর মৌসুমে কৃষকরা আলু হিমাগারে রাখছে। আগামী ছয়মাস সেখানে সংরক্ষণ করবে। দাম বাড়তি হলে তখন বিক্রি করবে। তবে বর্তমান উর্ধ্বমুখী বাজারে আলুর দাম কমই আছে।